
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
ভোলায় ডাকাত সালাউদ্দিন বাহিনীর ঘাঁটিতে অস্ত্রের মজুত, গ্রেফতার ৫

যুগান্তর প্রতিবেদন, ভোলা
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:২৭ পিএম

ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক সালাউদ্দিন বাহিনীর ৫ ডাকাত।
আরও পড়ুন
ভোলায় তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বক্ষে জেগে ওঠা চর মোজাম্মেলে দুর্ধর্ষ ডাকাত সালাউদ্দিন বাহিনীর ঘাঁটিতে অভিযান চালায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন টিম।
বৃহস্পতিবার ভোরে সালাউদ্দিনের ঘর থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বাহিনীর ৫ সদস্যকে আটক করা হয়।
উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি বন্দুক, দুটি পাইপগান, ৪টি পিস্তল, ৪টি তাজা কার্তুজ, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন- হারুন দফাদার (৫০), রুবেল (২৬), কবির মাঝি (৪৭), ইউনুছ (৩৬), ফেরদৌস ওরফে হেজু (৪০)। এরা সবাই চর মোজাম্মেলের বাসিন্দা। তবে কোস্টগার্ডের অভিযানের শুরুতে টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সালাউদ্দিন ও তার ভাই সবুজসহ মূল হোতারা। তাদের অস্ত্রের মূল মজুদে হানা দিতে পারেনি বলেও জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, চর মোজাম্মেলে ১০ হাজার একর চাষের জমি রয়েছে। সরকারের ওই খাসজমি সরকারিভাবে ইজারা বা ডিসিআর দেওয়া হয় না। ওই সব জমি ইজারা দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সালাউদ্দিন বাহিনী।
২০০১ সালে আলোচিত জলোদস্যু প্রধান আলাউদ্দিন ও বাচ্চুর হাত ধরে সালাউদ্দিনের উত্থান। তজুমদ্দিন থানার ওসি রবিউলের অপারেশন ও এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আলাউদ্দিন ও বাচ্চু। এর পরেই নদী ও চরের নিয়ন্ত্রণ নেয় সালাউদ্দিন। সব জলোদুস্য গ্রুপের অস্ত্র চলে আসে সালাউদ্দিনের হাতে।
কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অস্ত্রসহ ডাকাতদের অবস্থান জেনে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের ভোলা বেইস টিম মধ্যরাতে অভিযান শুরু করে। আটক ডাকাত ও উদ্ধার করা অস্ত্র তজুমদ্দিন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অস্ত্র ও ডাকাতদের আটকে কোস্টগার্ড সক্রিয় রয়েছে।