ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন বাড়লেও ভোগান্তি নেই
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মহাসড়কের কোথাও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বা ভোগান্তি নেই।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। মহাসড়কের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, পদ্মা সেতুর কল্যাণে এ বছরও এই পথে ঈদ যাত্রা স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ দ্রুত সময়ে নির্বিঘ্নে এ মহাসড়ক দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে।
আরও জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা ও পদ্মা সেতু টোল প্লাজার মাওয়া প্রান্তে দ্রুত টোল আদায় করতে সব বুথ সচল রাখা হয়েছে। যানবাহনগুলো দ্রুত সময়ে সেতু পারাপারের জন্য সাতটি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরাবরের মতো মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে আলাদা লেন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-খুলনাগামী বাসযাত্রী শফিকুর রহমান বলেন, ঈদ করতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। রাস্তায় কোনো বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি। কেরানীগঞ্জ ঢাকা-মাওয়া ও পদ্মা সেতু পার হয়ে নিজ বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করব ভাবতেই ভালো লাগছে।
বাসযাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, আমি ঢাকা থেকে ফরিদপুর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু টোলপ্লাজায় আসতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।
সার্বিক বিষয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৮টি ইউনিটে ৪ শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।
ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) ট্রাফিকের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিআই মজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলো আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ফুটপাত দখলমুক্ত ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং প্রতিরোধ ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি মহাসড়কের চার স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে এ সড়কে নিরাপত্তার স্বার্থে দিনে ও রাতে পুলিশ কাজ করবে।
