
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
আগের দিন ‘জয়বাংলা’ স্লোগান বলা মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তোপের মুখে

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম

আরও পড়ুন
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায় আগের দিন ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েছেন।
২৬ মার্চ সকালে উপজেলা সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
তোপের মুখে পড়া মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হেসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) মাঠে উপস্থিত উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনা ও বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে ওই সংবাদকর্মীকে নিবৃত্ত করে প্রশাসন।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় উপজেলা অডিটোরিয়ামে। ওই আলোচনা সভায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যের শেষে ‘জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। সেদিন সেখানে উপস্থিত কিছু রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা তার বক্তব্যের বিরোধিতা করলে তখনই ক্ষমা চেয়ে নেন সাখাওয়াত হোসেন।
২৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ওই মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মিলে উপজেলার নবাগত ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ২৫ মার্চের আলোচনা সভায় বলা কাজী সাখাওয়াত হোসেনের জয়বাংলা শ্লোগান নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি কাজী সাখাওয়াত হোসেনের ওপর তেড়ে আসেন এবং তাকে নাজেহাল করেন।
পরে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পুরষ্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় আমি ‘জয়বাংলা’ বলেছিলাম, এটি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বলে যাব। তাহলে জয়বাংলা স্লোগান বলা কি অপরাধ?
তিনি আরও বলেন, আমি আগের দিন জয়বাংলা বলার কারণে বুধবার স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা আমার ওপর উত্তেজিত হন।
স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কেউ ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দেয়নি। মূলত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ‘জয় বাংলা’ বলেছিলেন বলে শুনেছি। ওই সভায় আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আমি যা শুনেছি তা হলো, ওই মুক্তিযোদ্ধা জয় বাংলা বলার পরে আবার তিনি তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।
এব্যাপারে সংবাদ কর্মী গোলাম মোস্তফা যুগান্তরকে বলেন, ‘জয়বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ বললে আমি সহ্য করতে পারি না, প্রশাসন তাকে কিছু না বলায় আমি ক্ষিপ্ত হয়েছি তার প্রতি।