
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম
সিংগাইর-বায়রার সাত কিমি. সড়ক সংস্কার হয়নি ৮ বছরেও

সিংগাইর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

আরও পড়ুন
মানিকগঞ্জের সিংগাইর বাজার হযরত আলী সুপার মার্কেট হতে চাড়াভাঙ্গা, বায়রা ও গাড়াদিয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বিগত সময়ে রাস্তাটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাকাকরণে কয়েক বছরের মাথায় পিচঢালাই উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বেহাল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এ অবস্থা হলেও সংস্কার কিংবা মেরামত করার কোনো পদক্ষেপ নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিংগাইর উপজেলার পৌরসভা হযরত আলী মার্কেট হতে চাড়াভাঙ্গা-বায়রা-গাড়াদিয়া পর্যন্ত রাস্তার সাত কিলোমিটারের মধ্যে ছয় কিলোমিটারই ভাঙা ও খানাখন্দ ভরা।
রোববার (২৩ মার্চ) সেখানে গিয়ে দেখা গেছে-ইট, সুরকি, কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রাস্তা কাঁদা পানিতে একাকার হওয়ায় পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তির অন্ত নেই। এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, মিনি ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি, হ্যালোবাইক, অটোরিকসা, ভ্যান গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে।
এতে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চালকরা। এছাড়া স্কুল, কলেজ, অফিস গামীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা নিয়ে এলাকার মানুষের চরম মাশুল দিতে হয়। সময় মত রোগীদের হাসপাতালে নিতে না পাড়ায় নাস্তানাবুদ হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় মনির হোসেন ও জালালউদ্দিনসহ একাধিক হ্যালো বাইক ও অন্যন্য গাড়ির চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বায়রা সড়ক নষ্ট হওয়ায় যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করতে হয়। গাড়ির যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
কলেজছাত্র আশরাফুল ইসলাম বলেন, বায়রা সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের কোনো খবর নেই। এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে বাড়তি সময় ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়। তাড়াতাড়ি রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার।
উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, এ সড়কের ব্যাপারে আরসিআইপি প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যাবে। তখন দুর্ভোগ লাঘব হবে।