
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ এএম
কেন্দুয়া সাইডুলী নদীতে সেতুর অভাবে মানুষের ভোগান্তি

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

আরও পড়ুন
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নওপাড়া ইউনিয়নে সাইডুলী নদীর কাউরাট-কোনাপাড়া খেয়াঘাটে প্রতিদিন শত শত মানুষ নদী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নদী যখন শুকিয়ে যায় তখন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। প্রতিদিন শত শত মানুষকে এই নদী পাড়ি দিয়েই চলাচল করতে হয়। নদীর এই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সুফল পায়নি।
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আশার আলো দেখেনি এ অঞ্চলের মানুষ। যুগের পর যুগ বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষের নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, সাইডুলি নদীর উপর একটি ব্রিজের জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়ে আসছি। সম্প্রতি প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানতে পারলাম যে সুখবর আছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ব্রিজটি নির্মিত হলে মদন ও কেন্দুয়া দুই উপজেলার মানুষের চরম দুর্ভোগ কমবে। এছাড়া দুই উপজেলার মধ্যে অল্প সময়ে কম খরচে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দুয়া-মদন উপজেলার সাইডুলি নদীর কাউরাট-কোনাপাড়া ঘাট নামক স্থানে একটি ব্রিজ না থাকায় দুই উপজেলার মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে নদী পার হতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। বর্ষায় নদী পারাপারে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা নৌকা থেকে পানিতে পড়ে গেছে।
এছাড়া শুকনো মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে এক বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করতে হয়। কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট-কোনাপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় সংযোগ রাস্তাসহ ব্রিজটি নির্মিত হলে কৃষকদের উন্নয়নে ছোঁয়া লাগবে।
মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়ন ও কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের মানুষ ছোট-বড় যানবাহন নিয়ে নৌকাযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথ দিয়ে চলাচল করে আসছে। এছাড়া দুই উপজেলার কৃষি নির্ভরশীল জনসাধারণের বৈশাখ মাসে বোরো ধানের ফসল, সাইডুলী নদীর খড়স্রোতা বয়ে এ-পাড় থেকে ও-পাড় আনা নেওয়া চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কেন্দুয়া এলজিইডি প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, আমি গুরুত্ব দিয়ে সাইডুলি নদীতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় উর্ধ্বতন দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়েছি। এ ব্রিজের জন্য ৩০ কোটি টাকার বরাদ্দে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। ইনশাআল্লাহ, অচিরেই স্বপ্ন পূরণ হবে।