
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
মায়ের সঙ্গে দেখা করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

আরও পড়ুন
ভৈরবে মায়ের সঙ্গে দেখা করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইমরান মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইমরান মিয়া ও তার বাবা আবুল কাসেমকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের তালশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকার ইমরান মিয়ার সঙ্গে মাহবুব আলমের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আঁখি আক্তারের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আঁখির বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই।
মঙ্গলবার সকালে পঞ্চবটি এলাকায় আঁখি বেগম তার মামার বাসায় মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। খবর পেয়ে মামার বাসা থেকে ইমরান তাকে মারধর করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে তার বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় আঁখি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমরান তাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। তাদের বিয়ের পর থেকে আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে ইমরান। তার ভয়ে আমরা পরিবার নিয়ে পঞ্চবটি এলাকা থেকে বাসা ছেড়ে নিজ গ্রামের বাড়ি চলে যাই। আজ সকালে ট্রেনযোগে ভৈরব এসে আমার ভাইয়ের বাসায় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। আমার মেয়ে কেন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসল; সে কারণে আমার সামনে আঁখিকে অনেক মারধর করার পর, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে মেরে ফেলে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ইমরান এলাকার খুব দাপটে ছেলে। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। সকালের দিকে আমার সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুযাদ রুহানী জানান, আঁখি নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ইমরানসহ তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।