
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
সন্দ্বীপবাসীর দুঃখ ঘুচল

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

আরও পড়ুন
মেঘনা মোহনায় বঙ্গোপসাগরের মাঝ বরাবর সন্দ্বীপ। এই দ্বীপ থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডে আসতে হলে সাগর পাড়ি দিতে হবে। ভূখণ্ডে আসার মূল ভরসা লঞ্চ কিংবা ট্রলার। দীর্ঘদিন পর সন্দ্বীপবাসীর দুঃখ ঘুচল। দ্বীপটির বাসিন্দারা পেল ফেরি। এতে করে যেকোনো যান যেতে পারবে দ্বীপটিতে। এতেই খুশি সন্দ্বীপের বাসিন্দারা।
সোমবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ নৌ রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি
সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন
নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় সেখানে ছিলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা
রিজওয়ান হাসান, ফারুক-ই-আজম, ডা.বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও ফরিদা আক্তার।
উদ্বোধনের পর ছয় উপদেষ্টাকে নিয়ে কপোতাক্ষ নামক ফেরিটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া
ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তচড়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে পৌঁছে উপদেষ্টারা ঢাকা-সন্দ্বীপ
রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল উদ্বোধন করেন।
দুপুরের সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সেখানে ভার্চুয়ালিভাবে যুক্ত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
কপোতাক্ষ ফেরির মাস্টার মো. শামসুল আলম জানান, ছোট বড় মিলিয়ে ফেরিটিতে
মোট ৩৫টি যানবাহন উঠতে পারবে। পাশাপাশি ৬০০ জন মানুষও উঠতে পারবে। ফেরি পারাপারে সাধারণ
যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া মোটরসাইকেল ২০০, সিএনজি চালিত
অটোরিকশা ৫০০, ব্যক্তিগত গাড়ি ৯০০, বাস তিন হাজার ৩০০, ট্রাক তিন হাজার ৩৫০ ও ১০ চাকার
গাড়ির ভাড়া ৭ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘জোয়ার-ভাটা
হিসাব করে প্রতিদিন চারবার ফেরি চলাচল করবে। বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তচড়া
ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট।’