
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ এএম
কৃষকের খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে নিলেন সাবেক চেয়ারম্যান

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
-67e164bd7f9ec.jpg)
আরও পড়ুন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কৃষক রুহুল আমিন ফকিরের আবাদ করা ৬০ শতাংশ জমির পরিপক্ব সব পেঁয়াজ জোর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক।
কৃষক রুহুল আমিন জানান, প্রতিবছরের মতো তিনি তার পৈতৃক জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তবে রমজান উপলক্ষে মসজিদে ইতিকাফে থাকার সুযোগ বুঝে রোববার সকালে ৫০ থেকে ৬০ লোক নিয়ে তার আবাদি জমির সব পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যান পলাশ। খবর পেয়ে তিনি ইতিকাফ ভেঙে খেতে যান, তবে বাধা দিতে গিয়ে ভয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পলাশ এভাবে অনেকের জমি দখল করেছে, ওর ভয়ে কেউ কথা বলে না। অত্র এলাকার ভূমি সন্ত্রাসী দল গঠন করে এভাবে মানুষের ক্ষতি করছে। এদের সামনে কেউ ভয়ে যায় না, আর আমি তো এখন বাড়িতেও থাকতে পারব না।
জানা গেছে, রুহুল আমিন বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি গ্রামের বাসিন্দা। তার চাষ করা ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন রুহুল আমিন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ, কায়েস মিয়া, এলাহক মোল্যা এবং আরও ৩০ থেকে ৪০ লোক জমিতে গিয়ে সমস্ত পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যান।
বর্গাচাষি হাবিব অভিযোগ করেন, তিনি রুহুল আমিনের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। তবে পলাশের নেতৃত্বে একদল লোক জোর করে পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যায় এবং বাধা দিতে গেলে তাকে রামদা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত রইসুল ইসলাম পলাশ জানান, এটি তার মামার জমি এবং তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পেয়েছেন। তবে পেঁয়াজের আবাদ কে করেছিলেন এমন প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি তিনি।
নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করে পলাশ বলেন, গত দুবছর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জমিটি দখল করে রেখেছিল। এবারও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পেঁয়াজ লাগিয়েছে। আমি হাইকোর্টের রায় পেয়ে বৈধ কাগজপত্র নিয়েই জমিতে গিয়েছি। আমি কোনো অন্যায় করিনি।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান জানান, কৃষক রুহুল আমিনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।