ছাত্রদল নেতা আশিককে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চাতল বাঘহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠন করা নিয়ে বিরোধে আশিক খাঁ (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় রোববার নিহতের মা রিতা আক্তার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ২৯ জনকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হচ্ছেন- কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল, চান্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জজকোর্টের এপিপি রিয়াজুল ইসলাম সেবক, চাতল বাঘহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল, চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ইনসাফ আলীসহ ২৯ জন। এর মধ্যে শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ও আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করে রোববার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

জানা যায় , চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এর বিরুদ্ধে কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক মো. লোকমান মুন্সী ও সেকশন অফিসার আহাদ খানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম শনিবার প্রতিষ্ঠান আসেন।

মমুরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান ও এলাকার শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে স্কুল মাঠে তদন্তের কাজ শুরু করার পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দন ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল এবং অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম সেবকের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর সংঘর্ষ হয়। এতে আশিক খাঁ নামে একজন নিহত ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুইজন কর্মকর্তা, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান জানান, চাতল বাঘহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের তদন্তের সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষে আশিক নামে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় নিহত আশিকের মা রিতা বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন । এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।