Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভিজিএফ’র চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় জেলেদের ওপর হামলা

Icon

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

ভিজিএফ’র চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় জেলেদের ওপর হামলা

পটুয়াখালীর বাউফলে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণের সময় হামলায় তিন জেলে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আল আমিন (৩৫) নামে আহত এক জেলেকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার দুপুরে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ওই ইউনিয়নের এক হাজার নিবন্ধিত জেলের মাঝে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ৪০ কেজি করে মোট ৮০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। 

দুপুর ২টার দিকে আল আমিনসহ কয়েক জেলে চাল আনতে গেলে তাদের প্রত্যেককে ৫০ কেজির এক বস্তা করে চাল দেওয়া হয়। এ সময় তারা ৮০ কেজি করে চাল দাবি করেন। 

এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন জেলেদের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য হামলার শিকার জেলেরা চাল ফেলে রেখে দৌঁড়ে প্রাণ বাঁচান। 

আহত জেলে আল আমিন অভিযোগ করেন, চাল নেওয়ার ৪-৫ দিন আগ থেকে প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে চাল বিতরণের খরচের নামে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বারদের মাধ্যমে এ টাকা নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, ছেঁড়াফাটা বস্তায় চাল দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বস্তায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে চাল কম রয়েছে। 

একটি সূত্র জানায়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কমল গোপাল দে ও কালাইয়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দিপঙ্কর মজুমদারকে টনপ্রতি নির্ধারিত অংকের টাকা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক উপকারভোগীর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। দুই কর্মকর্তাকে টাকা দেওয়ার পরও গুদাম থেকে ছেঁড়াফাটা বস্তায় নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়। 

একাধিক উপকারভোগী বলেন, প্রতিটি বস্তায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। কালাইয়া খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা তার লোকজন দিয়ে বস্তা কেটে চাল রেখে দেওয়ার পর জেলেদের চাল সরবরাহ করেছেন। 

এদিকে কালাইয়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দিপঙ্কর মজুমদার বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জহির সরদার বলেন, পরিষদের সামনে কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মারামারি হতেই পারে। তবে চাল বিতরণ নিয়ে কোনো মারামারি হয়নি। প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। আমাকে হেনস্থা করার জন্য কোনো মহল পরিকল্পিতভাবে এটি ছড়িয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণ চাল বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্য গুদাম থেকে যেভাবে বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে সেই অবস্থায় বিতরণ করা হয়েছে। 

বিষয়টি জানতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কিছু সময় আমি ওখানে ছিলাম। তখন কোনো অনিয়ম আমার চোখে ধরা পড়েনি। আপনারা প্যানেল চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন। কোনো ঘটনা হয়ে থাকলে তিনি বলতে পারবেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম