মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় এক শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির এক সদস্যসহ আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন শিশু এবং তিনজন নারী রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা সেটি থামানোর সংকেত দেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় করে শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটির কাছে যান। বিজিবির একজন সদস্য নৌকাটিতে উঠলে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে সেটি ডুবে যায়।

তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নামেন এবং নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেন। তবে বিজিবির এক সদস্যসহ আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেছে। বিজিবির এক সদস্যসহ আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকার তলা ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, বিজিবি ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া একজন বিজিবি সদস্য এখনো নিখোঁজ। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।