Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাই-চাঁদাবাজির মামলা

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ পিএম

বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাই-চাঁদাবাজির মামলা

বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। 

সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিএনপি কর্মী শরিফুল ইসলাম খোকন শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় এ মামলা করেন। 

শনিবার বিকালে ওসি সাইদুল আলমের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাকদহ এলাকায় সরকারিভাবে বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড় ও হুরাসাগর নদীর পুন:খনন এবং তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মাটি-বালু তোলা হয়। 

পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। 

উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে বিএনপি কর্মী শরিফুল ইসলাম খোকন ব্যবসার জন্য জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় ভূমি মালিকদের কাছে ওই পরিমাণ মাটি-বালু কিনে তা অপসারণ করতে থাকেন। 

তিনি ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ ঘনফুযট মাটি-বালু অপসারণ করেছেন। এ অবস্থায় বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিএনপি কর্মী শরিফুল ইসলাম খোকনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন। 

তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন ক্ষুব্ধ হন। শাহীন ও তার লোকজন গত ১৬ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে শাকদহ গ্রামের ওই মাটি-বালু পয়েন্টে যান। সেখানে খোকনের মাটি-বালু পয়েন্টের ব্যবস্থাপক কোয়েল সরকারকে চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে মাটি-বালু বিক্রির ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

এ ব্যাপারে খোকন গত ২১ মার্চ রাতে ধুনট থানায় বিএনপি নেতা শাহীনসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। থানায় মামলার পর আসামিরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা খোকনের শাকদহ পয়েন্ট থেকে মাটি-বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও না ধরায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শাহীনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

শনিবার বিকালে ওসি সাইদুল আলম জানান, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কর্মীর চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম