
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
ইউএনওর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

আরও পড়ুন
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে খেয়াঘাট ইজারায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারাদার জুয়েল মাঝি।
তার অভিযোগ তিন লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে সর্বনিম্ন দরদাতাকে ঘাটের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউএনও। তার এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে সরকার প্রায় ৮ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ জুয়েলের। শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেন্দিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এসএম মশিউর রহমান বলেন, ইজারায় অংশ নেওয়া চার দরদাতার মধ্যে তিনজনেরই কাগজপত্র ঠিক নেই। তাই পাটনি সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকায় নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি বলে জানান ইউএনও।
লিখিত বক্তব্যে জুয়েল হোসেন মাঝি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের আওতাধীন ২৩টি খেয়াঘাটের ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ১১ মার্চ দরপত্র বিক্রি এবং ১২ মার্চ জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১৫ নম্বর ক্রমিকের স্টিমারঘাট রাস্তার মাথা থেকে মিটুয়া খেয়াঘাটের সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা। এ ঘাটটি ইজারা গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত ডাকে অংশগ্রহণ করেন চারজন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা দর দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন জুয়েল। এছাড়া দ্বিতীয় দরদাতা ১২ লাখ ৬ হাজার, তৃতীয় জন ১০ লাখ এবং সর্বনিম্ন দরদাতা ইজারা মূল্য দিয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা ঘাটের ইজারা পাবে। অথচ মেহেন্দিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মশিউর রহমান সর্বনিম্ন দরদাতা আসলামকে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকায় ইজারা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেছি। তিনি পাটনি সার্টিফিকেট সঠিক নয় দাবি করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে ঘাটের ইজারা দিচ্ছেন।
তিন লাখ টাকা উৎকোচ চুক্তিতে ইউএনও এমন অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ জুয়েল মাঝির।
মেহেন্দিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এসএম মশিউর রহমান বলেন, যে চারজন ঘাটের ইজারা ডাকে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দরদাতার কোনো কাগজপত্রই নেই। তাছাড়া আমরা নিশ্চিত হয়েছি সর্বোচ্চ দরদাতা জুয়েল মাঝির দেওয়া পাটনি সার্টিফিকেটও জাল।