
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ এএম
মীরসরাইয়ে তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম
-67dd82b3c8493.jpg)
আরও পড়ুন
মীরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ চলছে এক দশক ধরে। এবার সবচেয়ে ভালো ফলন হওয়ায় উপজেলার ইছাখালী ও সাহেরখালী চরাঞ্চলের কৃষকরা বেশ খুশি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ২০ হাজার টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে মীরসরাইয়ে। তরমুজ বিক্রি ও শুরু হওয়ায় এখানকার তরমুজ চাষিদের এখন বেশ আনন্দেই দিন যাচ্ছে।
এক দশক আগে ও মীরসরাই উপজেলা এলাকায় সুবর্ণচর বা নোয়াখালী অঞ্চল থেকেই তরমুজ আসতো। এখন এখানেই চাষ হচ্ছে তরমুজ। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মীরসরাই উপজেলা ইছাখালী ও সাহেরখালী অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন শতাধিক চাষি চাষ করছেন সুস্বাধু এ তরমুজ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার চরাঞ্চলের সাহেরখালী ও ইছাখালী এলাকায় গত বছর ১৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। এ বছর হয়েছে ৪৮০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রত্যাশা ও অনেক বেশি ছিল এবার। তবে প্রকৃতি এখনো অনুকূলে থাকায় কৃষকদের প্রত্যাশা ভাল ফলনের। অনুকূল রোদ, বৃষ্টির দরুণ ভাল ফলন হলে ও এখন ভালোয় ভালোয় ফসল বিক্রি করে ও শ্রম পুঁজি উঠিয়ে লাভ ঘরে তোলা।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, এবার প্রতি হেক্টরে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টন। তরে প্রত্যাশা ২০ হাজার টন নাগাদ উৎপাদন হবে; যা আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ বাজারে বিক্রি সম্ভব।
উপজেলার সাহেরখালীর চরাঞ্চলের তরমুজ চাষী সাইফুল ইসলাম (৪৫) বলেন, চাষাবাদ ও বাজারজাতকরণে সুবিধা থাকায় এবং এ অঞ্চলের মাটি দোঁআশ মাটি থাকায় তরমুজ চাষ করতে নোয়াখালী সুবর্ণচরের কৃষকরা এখানে এসে জমি বর্গা চাষ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ আবাদ করছে। আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও রয়েছে এসব তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা এসে সরাসরি খেত থেকে এসব তরমুজ কিনে নিতে আসা শুরু করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সাহেরখালি, ইছাখালি ও মিঠানালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পতিত জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। লাভবান হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে দেখা দিচ্ছে তরমুজ।
স্থানীয়রা জানান, এখানকার তরমুজ আকারে বড়, চকচকে লাল এবং খেতে অনেক মিষ্টি হয়। এখানকার তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররাও এখানকার তরমুজ কিনে নিয়ে যান।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ভিক্টর সুগার, ওশেন সুগার, গোরি, বাংলালিংক, ব্যাকবেরি, স্থানীয় ও অন্যান্য জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশ অব্যাহত থাকলে শত কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।