‘আ.লীগ সমর্থকদের’ হামলায় বিএনপির ২ নেতা হাসপাতালে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শূকরের বাচ্চা বিক্রি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির স্থানীয় দুই নেতা আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত এক বিএনপির নেতার দাবি, পতিত আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা তাদের ওপর হমালা চালিয়েছে।

বুধবার রাতে উপজেলা গাবসারা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— গাবসারা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম ও একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোতা মোল্লা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে শতাধিক শূকর নিয়ে উপজেলার যমুনা নদী সংলগ্ন কুঠিবয়ড়া এলাকায় যায় এক ব্যক্তি। ওই সময় একটি গর্ভবতী শূকর দলছুট হয়ে হারিয়ে যায়। পরে সেটি কুঠিবয়ড়া এলাকার আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

সেখানে শূকরটি একাধিক বাচ্চা প্রসব করে। একপর্যায়ে শূকরের দলের দেখাশুনাকারী ব্যক্তি খবর পেয়ে আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আসে। সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে বাচ্চার সংস্পর্শে কাউকে যেতে নিষেধ করেতিনি সেখান থেকে চলে যায়। বাচ্চাগুলো একটু স্বাভাবিক আকারে আসলে আলমীর মোল্লার ভাতিজা আশিক মোল্লা একটি হিন্দু পরিবারের কাছে শূকরের বাচ্চাগুলো বিক্রি করে দেয়।

এদিকে কয়েকদিন পর শূকরের দলের দেখাশোনা করা ব্যক্তি আবার আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আসেন বাচ্চাগুলো নিতে। কিন্তু বাচ্চা বিক্রির কথা শুনে তিনি এর বিচার চেয়ে চলে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাবসারা ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম ফকির বিষয়টি মীমাংসায় এগিয়ে আসেন। তার সঙ্গে আশিক মোল্লা ও লিয়াকত মোল্লার তর্কাতর্কি হয় একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালায় ওই দুজন। এ সময় সফিকুল ইসলামকে রক্ষা করতে এসে মারধরের শিকার হন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোতা মোল্লা।

সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশিক মোল্লা ও লিয়াকত মোল্লা আওয়ামী লীগ সমর্থক। তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

ভূঞাপুর থানার ওসি এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’