
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

আরও পড়ুন
আর কিছুদিন বাদেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উৎসবকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকাশিল্পে লেগেছে কর্মব্যস্ততার ছোঁয়া। ধম ফেলারও সুযোগ নেই পাদুকাশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের। দিনরাত সমানতালে চলছে কাজ। জেলাটিতে উৎপাদিত জুতা সরবরাহ করা হয় সারা দেশজুড়ে।
ঈদ মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকাশিল্পে প্রায় ১৮ থেকে ২১ লাখ
জোড়া জুতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ৫০ থেকে
৭০ কোটি টাকা।
জেলার পাদুকাশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা
বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতে তৈরি ও মেশিনে তৈরি—দুই ধরণের জুতার কারখানা
রয়েছে। মেশিনে তৈরির কারখানাগুলোকে বলা হয় পিও ফুটওয়্যার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিও ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় রয়েছে ৩৮ কারখানা।
আর হাতে তৈরি জুতার কারখানা রয়েছে ২০ থেকে ২৫টি। এসব কারখানায় কর্মরত রয়েছেন প্রায়
পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক। প্রতিদিন এখানে গড়ে সোয়া এক লাখ জোড়া জুতা উৎপাদিত হয়।
পাইকারি বাজারে প্রতিটি জুতার মূল্য ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। দাম তুলনামূলক
কম থাকায় বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন জেলাটিতে।
শহরতলির পীরবাড়ি ও সদর উপজেলার শরীফপুর এলাকায় নিউ চায়না ফুটওয়্যার,
ইনটেক্স পিও ফুটওয়্যার, গ্র্যান্ড পিও ফ্যাশন ফুট, ভরসা সুজসহ বেশ কয়েকটি কারখানায়
কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে বাড়তি সময় কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
শ্রমিক মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘এক মাস ধরে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করতে
হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার জোড়া সোল প্রস্তুত করছি।’ কামাল উদ্দিন নামের আরেক
কারিগর বলেন, ‘ঈদ এলে আমাদের ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।’
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে জুতা কিনতে আসা ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘আমি
সারা বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জুতা নিয়ে বিক্রি করি। এখানকার জুতার মান ভালো এবং
দাম তুলনামূলক কম।’
নিউ চায়না ফুটওয়্যারের মালিক ফারুক ওসমান বলেন, ‘জুতার মান নিয়ে আমরা
আপস করি না। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সরকারি সহায়তা
পেলে বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিও ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘সাধারণ মাসের তুলনায় ঈদের সময় উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়। এ মাসে আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণ জুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’