
প্রিন্ট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪১ এএম
হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় করা হত্যা চেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার মা-বোন-ভাগ্নিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরকারি ভূমি অফিসের কর্মচারী মামলার বাদী প্রীতম মজুমদার পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় করা জিডিতে প্রীতম উল্লেখ করেন, গাছ কাটা নিয়ে
কুপিয়ে আহত ও হত্যা চেষ্টার মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে মাসহ
তাঁকে। এতে করে সাক্ষীরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
গত ১৪ মার্চ রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউপির গাইয়ারচর গ্রামের
মাঝি বাড়িতে প্রীতমের বাগানে ঢুকে গাছ কেটে ফেলে একই এলাকার সুশীল মজুমদারসহ তার পরিবার।
এ সময় প্রীতম তাদের বাধা দিলে পরিবারটির সদস্যরা তার ওপর হামলা চালায়। পিটিয়ে ও কুপিয়ে
জখম করে তাকে। ভাঙচুর করে প্রতীমের বসতঘরও। পরে স্থানীয়রা প্রীতমকে উদ্ধার করে রায়পুর
সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় গত ১৬ মার্চ আহত প্রীতম বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। এতে
আসামি করা হয় সুশীল মজুমদার, তার ছেলে অংশুমান মজুমদারসহ পাঁচজনকে। গত বৃহস্পতিবার
সুশীল মজুমদারসহ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
পরে চারজন জামিনের বের হয়ে আসেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, এলাকায় ফিরে হত্যা চেষ্টা মামলা তুলে নিতে প্রীতমসহ
তার মা ও বোনকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন আসামিরা। তাদের কথায় সায় না দিলে মাসহ তাকে হত্যা
করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আসামিরা প্রায়ই রাতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ ঘটনা
স্থানীয় ইউপি সদস্য, সাংবাদিক ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়েছেন প্রীতম।
প্রীতমের দাবি, ‘আসামিদের পুনরায় হামলা ও ক্ষতি করার আতঙ্কে খুব অসহায়
অবস্থায় আছেন। ঘরে তিনি মা ও এক ভাগ্নিকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে
তাদের। ভয়ে চাকরিতেও যেতে পারছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে সুশীল মজুমদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলক মামলা
হয়েছে। আমার ছেলে এখনও কারাগারে। বাদী যে অভিযোগে জিডি করেন, তা সত্য নয়।’
চরআবাবিল ইউপি সদস্য জটিল মজুমদার বলেন, ‘সুশীল মজুমদার ভালো লোক না।
তার বিরুদ্ধে কথা বললে অপমানিত হতে হয়।’
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ‘প্রীতম থানায় সাধারণ ডায়েরি
করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করছে। বাদী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য নজরদারি বাড়ানো
হবে।’