
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪০ এএম
হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানায় বার্ষিক ওরস বন্ধ

যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

হজরত শাহজালালের (রহ.) অন্যতম সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানায় চলতি বছর বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় বুধবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি যুগান্তরকে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লাউরগড়ের সাহিদাবাদে সীমান্তের শূন্যরেখায় হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানায় প্রতি বছরের মতো এ বছর ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস উদযাপনের দিনক্ষণ পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
এদিকে ওরস উদযাপনের পূর্বনির্ধারিত দিনক্ষণে চলতি বছর পবিত্র রমজান মাস চলমান থাকায় ও ২৭ মার্চ পবিত্র শবে কদরের রাত্রি হওয়ায় ওরস উদযাপনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বার্ষিক ওরস ও বারুণী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সভায় থানা পুলিশ, ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) লাউরগড় বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার, হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানার পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলরা, রাজারগাঁও শ্রী শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, গড়কাটি ইসকন মন্দির প্রতিনিধি, উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কয়েকশ বছর ধরে চলে আসা তাহিরপুরের লাউরগড় সীমান্তের সাহিদাবাদে হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) বার্ষিক ওরস মোবারক ও বারুণী মেলায় নির্ধারিত দিনক্ষণে তিন দিনব্যাপী দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ দর্শনার্থী, ভক্ত-আশেকানরা সমবেত হতেন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায়।
অতীতে সীমান্ত আইনে কোনো বাধা না থাকায় ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে থাকা হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানায় দর্শনার্থী, ভক্ত আশেকানরা এপার–ওপার প্রবেশ করার সুযোগ পেতেন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ওপারে মেঘালয় পাহাড়ে হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানা ছিল। সীমান্ত আইনে বাধা থাকায় গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেঘালয় পাহাড়ে থাকা আস্তানায় অনুপ্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তাই তাহিরপুরের লাউরগড় সীমান্তের সাহিদাবাদে থাকা আস্তানায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস মোবারক ও বারুণী মেলায় সমবেত হতেন কয়েক লাখ ভক্ত, আশেকান, দর্শনার্থী।