আত্মসাতের ৩ হাজার বস্তা সরকারি সার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম

যশোরের অভয়নগর থেকে ফরিদপুরে পাঠানোর নামে আত্মসাতকৃত তিন হাজার পনের বস্তা সরকারি বিসিআইসি ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইউরিয়া সারের মূল্য প্রায় ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকা।
গ্রেফতাররা হলেন- যশোর সদরের চাউলিয়া বিশ্বাসপাড়া এলাকার নূর ইসলাম মোল্লার ছেলে মিলন হোসেন, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার কেরামত আলীর ছেলে আবু বক্কর ও বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের অনাত সাহার ছেলে উজ্জ্বল কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার রওনক জাহান জানান, গত ১৩ মার্চ অভিযান চালিয়ে অভয়নগর থানার ভাঙাগেট এলাকা থেকে আসামি আবু বক্কর ও মিলন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সার আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করে।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৪ মার্চ বাঘারপাড়ার চতুরবাড়িয়া বাজার থেকে চারশত পয়ত্রিশ বস্তা সার উদ্ধার ও আসামি উজ্জল কুমার সাহাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে, ১৬ মার্চ শার্শার বাগআঁচড়া বাজার থেকে আটশত বস্তা সার উদ্ধার করা হয়। গত ১৭ মার্চ সদর উপজেলার পুলেরহাট বাজার থেকে চারশত ৬০ বস্তা ও একই দিন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার বারোবাজার থেকে নয়শত বিশ বস্তা এবং মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গোপেরবাজার থেকে চারশত) বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত তিন হাজার পনের বস্তা সরকারি ইউরিয়ার সারের মূল্য ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকা।
মামলার বাদি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নওয়াপাড়া বিভিন্ন ঘাট হতে ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাফার গোডাউনে সার পাঠানোর জন্য তার পূর্ব পরিচিত মিল্টন হোসেন ওআবু বক্করের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারা তাকে আশ্বস্ত করেন তাদের বিশ্বস্ত ট্রাক দিয়ে সার যথাস্থানে পৌঁছে দিবে। তাদের কথায় বিশ্বাস করে তাদের মাধ্যমে সার পাঠানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। যথারীতি গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৪৮টি ট্রাকে করে বিভিন্ন সময়ে একত্রিশ হাজার ৩৬০ বস্তা সরকারি ইউরিয়া সার (আনুমানি মূল্য চার কোটি ঊনচল্লিশ লাখ চার হাজার টাকা) লোড দিয়ে ফরিদপুরের টেপাখোলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে বাদী টেপাখোলা বাফার গোডাউনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার জানায় ৪৮টি ট্রাকের মধ্যে ৩৩টি ট্রাক এসেছে বাকি ১৫টি ট্রাকে সাত হাজার ১৪০ বস্তা সার পৌঁছাইনি। তখন বাদী আসামিদের নিকট বাকি ট্রাকগুলো না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন। বাদী তাদের নামে এজাহার দায়ের করলে থানায় একটি মামলা রুজু হয়।