সাবেক জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
-67dacd4bcde0c.jpg)
পিরোজপুরের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী (৫৭) ও তার স্বামী সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খালেকের (৬৬) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ভোগদখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করেছে পিরোজপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
বুধবার জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী। এছাড়াও তিনি জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে পৃথক এ মামলা দুটি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সালমা রহমান জেলার বিভিন্ন মৌজায় ২৮.৬৫ শতাংশ জমি, ঢাকার পল্লবীতে ৫ শতাংশ জমির মূল্যসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও অংশিদারিত্ব ও ঠিকাদারি ব্যবসাতে মোট ১৬ কোটি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯১ টাকা আয় করেছেন। বিপরীতে তার তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০২ টাকা। সে ক্ষেত্রে সালমা রহমান ১ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ২৮৯ টাকা মূল্যমানের অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্বামী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান খালেক পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় ১৫.৪৫ একর জমি, ইটভাটা, ও-এ এগ্রোফুড কোম্পানির নামে ভবন তৈরিসহ বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান নথিতে পাওয়া যায় ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ টাকা। বিপরীতে মজিবুর রহমানের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬২ টাকা, যা থেকে প্রতীয়মান ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৪ টাকা মূল্যমানের অসাধু উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ প্রতীয়মান হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়।