Logo
Logo
×

সারাদেশ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তার নামে মামলা

Icon

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ এএম

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তার নামে মামলা

এতিমের বরাদ্দসহ ভাতা—ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন জ্যৈষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলাগুলো করেন।

জেলা দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে কক্সবাজার সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউ খালি ইউনিয়নের ১০ হাজার গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নগরকান্দায় কর্মরত ছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অবহেলা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক এ কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

একটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নগরকান্দা উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন ২০২২-২৩ অর্থবছরের এতিমদের বরাদ্দকৃত সাড়ে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আবুল কালাম আজাদ। অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরসহ বিভিন্ন সময় অবিতরণকৃত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বিতরণ না করে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে আত্মসাৎ করেন তিনি।

অপর আরেকটি মামলায় উল্লেখ করা হয়, ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি তহবিল থেকে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা তুলে নিজ কাজে ব্যবহার করেছেন।

দুদকের উপপরিচালক রতন কুমার বলেন, ‘সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে। এর প্রেক্ষিতে জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করে ও সত্যতা পায়। তিনি মোট এক কোটি সাত লাখ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগে ফরিদপুরের জ্যৈষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে পৃথকভাবে তিনটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই সময় আমার অফিসে থাকা নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিরোধিতা ছিল। এর জেরে তিনি আমার নামে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় মামলা হলে তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মূলত এতিম না থাকায় টাকাগুলো দেওয়া হয়নি। বর্তমানে এই টাকাগুলো ব্যাংকে রয়েছে। এ ছাড়া আমার জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোনের টাকা ব্যাংকে লেনদেন হয়। এ কারণে দুদক সন্দেহ করেছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম