
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ২ শিশু সেফহোমে

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ১৩ ও ১৪ বছরের ২ শিশুকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ মহেশপুর থানার কানাইডাঙ্গা থেকে ও দামুড়হুদার বোয়ালমারী হতে পৃথক দুই জায়গা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজির করলে তাদের যশোর সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী শিশু কন্যার মা ও দাদি ও চাচাতো ভাই পলাশ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা স্কুলপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে (৮) লজেন্স দেওয়ার নাম করে পাশের বাঁশবাগানে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালায় দুই শিশু। এ সময় শিশুকন্যার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরদিন থানা বিএনপির সদস্য ইসরাফিল হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম গোপনে বাড়িতে বসে মীমাংসা করে দেয় বলে শিশুকন্যার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয় দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি শফিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান জানান, এ রকম একটি ঘটনার কথা আমরা শুনেছি এবং আমরা দুজনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম; কিন্তু নারী নির্যাতনসহ বেশ কিছু অপরাধ, যা গোপনে বা বাড়িতে বসে মীমাংসা করা যায় না- তাই আমরা ফিরে এসেছি।
এ বিষয়ে ইসরাফিল হোসেন ও আমিরুল ইসলাম জানান, আমরা কোনো বিচার সালিশ করিনি। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে আমরা ঘরোয়াভাবে মীমাংসা করে দিয়েছি এবং উভয়কে হাতে হাত মিলিয়ে দিয়েছি।
এ ঘটনায় শিশুকন্যার বাবা ইয়াসিন হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাতে দর্শনা থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর জানান, আটককৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা কোর্টহাজতে চালান করা হয়েছে। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সেফহোমে পাঠিয়েছেন।