Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যবসায়ীকে হত্যা করে স্বর্ণ লুট, গ্ৰেফতার ৬

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম

ব্যবসায়ীকে হত্যা করে স্বর্ণ লুট, গ্ৰেফতার ৬

সাভারের আশুলিয়া থানা এলাকায় স্ত্রীর সামনে দিলীপ দাস নামে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র, লুট হওয়া ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে সাভারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেল শাহিনুর কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সাভার, আশুলিয়া, রাজশাহী ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- রিপন মিয়া (৪০), আরিফ প্রামাণিক (৩০), শাহ আলম (৪৫), আরমান শেখ (৪০), মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ ও ইব্রাহিম বাবু (৪৫)।

এর আগে ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাতদল। তার স্ত্রী সরস্বতী দাসের সামনেই তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে স্বর্ণলংকার লুট করে ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে দিলীপের মৃত্যু হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে ৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হত্যা ও স্বর্ণ ডাকাতিতে অংশ নেয়।

ওই রাত ৮টার দিকে ডাকাত ইমরান, তার দুই ভাই শাহ আলম ও আরমান, রিপন, আরিফ, আকাশ, তালিম ও মাসুদ একটা ভাড়া গাড়িতে করে নয়ারহাট এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করে।

ইমরান ও আকাশ ভাড়াটে গাড়ির ভেতরে অবস্থান করে। আরমান ও শাহ আলম ঘটনাস্থলের পাশে পাহারা দেয় এবং তালিম ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরী করে। রিপন ও আরিফ দুটো চাপাতি দিয়ে দিলীপকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং মাসুদ স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে ওঠে।

রিপন, শাহ আলম, আরমান ও মাসুদের দেওয়া তথ্য মতে, আরিফকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ৮ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও তাদের দেওয়া তথ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতির স্বর্ণ ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ইব্রাহিমকে রাজশাহীর কর্ণহাট এলাকা থেকে ৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে আরিফের দেখানো জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্য হলেও বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশে ডাকাতি করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম