Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রতিবেশীর ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম

প্রতিবেশীর ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়ায় প্রতিবেশী মনির হোসেনের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন আবুল হোসেন নামে এক বৃদ্ধ।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড নবিয়ারগোজ এলাকার খতিজার বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধ আবুল হোসেনের (৬৫) এমন মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহতের পরিবার ও অভিযুক্ত মনির হোসেন পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের নারীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত।  সোমবার বিকালে নিহতের মেয়ে মুন্নী আক্তারের সঙ্গে অভিযুক্ত মনির হোসেনের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। নারীদের এ ঝগড়ার সঙ্গে পুরুষরাও জড়িয়ে পড়েন। এরই জেরে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আবুল হোসেনের মেয়ে মুন্নী আক্তার জানান, সোমবার মনির হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সোমবার আসরের নামাজ পড়তে গেলে মনির ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাবাকে একা পেয়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। একপর্যায়ে জোরে ধাক্কা দিলে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মাথায় মারাত্মক আঘাত পান। মাথা এবং মুখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয়রা বাবাকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে মনির হত্যা করেছে। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘাতক মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন। পেশায় রিকশাচালক মনির হোসেন ঢাকার বাসিন্দা হলেও এলাকার এক ভিক্ষুক নারীকে বিয়ে করে বিগত ১৫ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছেন।

ঘাতক মনিরের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার জানান, তার বাবাকে আবুল হোসেন আগে ইট দিয়ে আঘাত করেছেন। পরে তিনি তাকে ধাক্কা মারেন। তবে এভাবে আবুল হোসেনের মৃত্যু হবে বাবা জানতেন না।

কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম