স্ত্রীর নির্দেশে স্বামীর ওপর হামলা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে আসাদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ভুক্তভোগীর দাবি, তার প্রথম স্ত্রীর নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়। এতে তিনি আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের আজিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশে
দিয়েছে। অটককৃতরা হলেন, আসাদ মিয়ার ছেলে আরিব (১৭), শ্রীপুর গ্রামের ওয়াদ্দা দিঘী
পাড় এলাকার রতন মিয়া ছেলে মো. জাহিদ (১৭), সাতখামাইর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে
জিহাদ (১৭) ও টেংরা গ্রামের হাবিজ উদ্দিনের ছেলে মারুফ (১৮)।
ভুক্তভোগী আসাদ মিয়া উপজেলার
দূর্লভপুর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১২ থেকে ১৫ জনের কিশোর
গ্যাং সদস্য সাতখামাইর রেল স্টেশন এলাকায় আসাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার
কাছ থেকে নগদ তিন হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একইসঙ্গে তাকে বেধড়ক পিটায়। এ সময়
আসাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে আটক করে। খবর পেয়ে মধ্যরাতে পুলিশ ঘটনাস্থল
থেকে চারজনকে ধরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আসাদ জানান, তার প্রথম স্ত্রী পারুল তাকে ছেড়ে বিদেশ চলে যান। এক বছর পর তিনি শিউলী নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দুই বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী দেশে ফিরে বাড়িঘর দখল করেন। বৃদ্ধা মাসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি এখন ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনি এখন জামিনে আছেন।
গত সোমবার সকালে প্রতম স্ত্রী পারুলের সঙ্গে আসাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এতে
ক্ষিপ্ত হয়ে পারুল তাকে মারার পরিকল্পনা করে। তার বোনের ছেলে জিহাদকে মারপিটের দায়িত্ব
দেন পারুল। এরপর আসাদ-পারুল দম্পতির ছেলে আবির ও ভাগিনা জিহাদ শরণাপন্ন হয় কিশোর গ্যাং
লিডার জাকারিয়ার কাছে। সেদিন রাতেই আসাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশের কাছে আটক থাকা জিহাদ বলে, ‘পারুল খালা খালুকে সাইজ করার দায়িত্ব
দিয়েছিল। এজন্য জাকারিয়ার নেতৃত্বে ১২ থেকে ১৫ জন মিলে খালুর ওপর হামলা করে।’ পুলিশ
বলছে, পারুল-আসাদ দম্পতির ছেলে আবির মারধরে অংশ নেয়নি। তার মোবাইল চেক করে দেখা গেছে,
সে দূরে থেকে পুরো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে। বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে
যোগাযোগ রক্ষা করছিল সে।
অভিযোগের বিষয়ে পারুল বলেন, ‘আসাদ আমাকে নির্যাতন করে। তাকে সামান্য
সাইজ করতে চেয়েছিলাম। মারধর করতে চায়নি।’
শ্রীপুর থানা পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কর বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল
থেকে চার কিশোরকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’