টাকা না দিয়ে গ্রাহককে উলটো পুলিশে দেওয়ার হুমকি ব্যাংক ম্যানেজারের

পাহাড়তলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

চট্টগাম নগরীর বাসিন্দা ব্যবসায়ী এরশাদ। নগরীর পাহাড়তলী থানার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখায় করেছিলেন ১০ লাখ টাকার এফডিআর। সেই এফডিআরের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৮ মার্চ। এফডিআরের টাকা উঠাতে ব্যাংকে যান এরশাদ। তবে ব্যাংক থেকে তাকে টাকা দেওয়া হয়নি। উলটো ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মকর্তারা দিয়েছেন হুমকি। তারা বলেন, জেলে পাঠিয়ে দেব।
শুধুমাত্র
এরশাদ নন পাহাড়তলী থানার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখার অনেক গ্রাহকের
সঙ্গেই এমন দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের
বিরুদ্ধে। এর বেশকিছু ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
এরশাদ
বলেন, ‘এফডিআরের টাকা নিয়ে ব্যাংক খালি ঘুরাচ্ছে। আজকেও (মঙ্গলবার) গিয়েছিলাম। যে
ম্যানেজার এফডিআর করতে অনুনয় করেছিল সে এখন পল্টি মেরে দিয়েছে। বেশি কথা বললে টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়ার কথা বলে। এমনকি কথা বললে ব্যাংকে সিনক্রিয়েট করার
অভিযোগে থানায় মামলা করে জেল খাটানোর হুমকি দিয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকটির আরেক গ্রাহক বলেন, ‘ব্যাংকে টাকার জন্য গেলেই সিকিউরিটি গার্ড ডেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে ম্যানেজার দুলাল ও সেকেন্ড ম্যানেজার ইকবাল হোসেন।’ সুলতানা নামের এক নারী বলেন, ‘আমার স্বামীর কষ্টের টাকা তুলতে দিচ্ছে না তারা। রমজান মাস কত রকমের খরচ। ব্যাংকে গেলেই বলে পাঁচ হাজার টাকা নেন, না হয় চলে যান। বেশি কথা বললেই সিকিউরিটি গার্ড ডেকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখায়।’
অভিযোগ
রয়েছে, ব্যাংক ম্যানেজার দুলাল এস আলম গ্রুপের মদদপুষ্ট। অনিয়ম দুর্নীতি করে কোটি
কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের
বিষয়ে ম্যনেজার দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। তাই আমরা কিছু করতে
পারবো না। আপনারা যা পারেন তাই করেন। নিউজ করলে কিছু হবে না। ম্যানেজারের চাকরি
এত সহজ না। বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে অভিযোগ করেন।’