
রংপুরে ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম বাদ দিতে পুলিশের নামে দেওয়া ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি মামলায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী নেতা অমিত বণিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন আদালত-১ এর বিচারক সোয়েবুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করেন। এরপর তিনি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে অমিত বণিকের পক্ষে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, আফতাব উদ্দিন সরকার, বাইজিদ ওসমানী, কাউছার আলী, মোফাজ্জল হোসেন, রফিকুল ইসলাম মুকুল, সাবরিনা কাশেম, আব্দুল কাইয়ুম মন্ডল, আহসানুল হক মিলন, সিপন সাহাসহ ২৫ জন আইনজীবী।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে অমিত বণিককে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়।
একটি মামলা সূত্র জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় রিপি খান ভরসাকে আসামি করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মামুনুর রশীদ এ মামলা করেন।
মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে মামলার চার্জশিট দেওয়ার জন্য তিনি রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) সাবেক ডিসি ক্রাইম মোহম্মদ শিবলি কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এজন্য তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ট রংপুরের ব্যবসায়ী নেতা রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অমিত বণিককে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। লিপি খান ভরসা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। এসব বিষয়ের কথোপকথন লিপি খান ভরসা মোবাইলে অডিও ধারণ করেন। তা অবহিত করে গত ১১ মার্চ মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিপি খান ভরসা লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি পলাশ হাসানকে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ রাতে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় অমিত বণিককে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় অমিত বণিককে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠান।
অপরদিকে ওই মামলা করার সময় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলি কায়সার থানায় মামলার বাদী পলাশ হাসানকে মারধর ও গুলি করার চেষ্ট করেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ক্লোজ করা হয়েছে।