
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। একই মামলায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তাগীর আলম এ
রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন— কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের
ছেলে ছালাম হাওলাদার (৫০), মহব্বত আলীর ছেলে মো. আলমগীর (৫৮), আ. আজিজের ছেলে মালেক
(৬৬), মজিদ মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৫৭) এবং আলফাজ আলীর ছেলে আইউব আলী (৫৮)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠীর
কাপালীর বাজারে ডাকাতদল হানা দেয়। ওই সময় রফিকুল ইসলামের সাইকেল পার্টসের দোকানের দরজা
ভেঙে ঢুকে মালামাল ও নগদ টাকা লুটে নেয় ডাকাতরা। এ সময়ে রফিকুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন
ছুটে আসে। ডাকাতরা পালাবার সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা
যান ওই এলাকার মিজান।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা করে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত ওই পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আর বাকি ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল ও অ্যাডভোকেট
এমডি আউয়াল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু।