কৃষকের ৭ বিঘা জমির ফসল কেটে নিল প্রতিপক্ষ

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক কৃষকের সাত বিঘা জমির পাকা সরিষা ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রোববার উপজেলার গনইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষকের দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ
ফসল কেটে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশেও অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি তিনি। বরং
ওসির মদদে ফসল কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গনইর মৌজার ২৭২ ও ২৭৮ নং দাগের আট
বিঘা জমির মালিক থানাপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান। বিশেষ প্রয়োজনে সেই জমি ১২ বছরের জন্য
শিবগঞ্জের ইমতিয়াজ মাসরুর ও সাপাহার উপজেলার ইসমোতারা বেগমের কাছে লিজ দেন মতিউর। লিজ
নেওয়া দুজনে ফের ওই জমি লিজ দেন গনইর গ্রামের কৃষক জুলফিকার আলীর কাছে।
লিজ নেওয়ার পর থেকে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন জুলফিকার। তিন মাস আগে
সেই জমিতে সরিষা লাগান তিনি। তবে সম্প্রতি
ওই জমিতে জুলফিকারকে যেতে বাধা দেন মতিউর। এ নিয়ে চলতি মাসে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই
কৃষক। পরে আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে আদালতে নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে রোববার
জুলফিকার আলীকে কিছু না জানিয়ে পাকা সরিষা কেটে নিয়ে যান মতিউর।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জুলফিকার আলী বলেন, ‘মতিউর রহমানের কাছে মাশরুর ও ইসমোতারা
লিজ নেয়। তারা দুজনে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে আমার কাছে লিজ দেয়। জমি লিজ নেওয়ার পর থেকে
চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ মতিউর আমার সেই লিজের জমির ফসল কেটে নিয়ে গেছে। ওসির
যোগসাজসে এমন ঘটনা ঘটেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি জুলফিকারকে জমি লিজ দেয়নি। যারা
লিজ নিয়েছে তারা জমিতে চাষাবাদ করবে।’
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যার জমি সেই সরিষা কেটেছে।’ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’