ঢাকার ধামরাইয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার উপজেলার রুয়াইল ইউনিয়নের ফরিংগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই এক লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার)। ভুক্তভোগী পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা ওই মেম্বার নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিংগা গ্রামের ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ তারা মিয়া ওরফে গ্যাদা মিয়া একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই বৃদ্ধকে আটক করে। খবর পেয়ে রুয়াইল ইউপি সদস্য পলাশ বিচারের আশ্বাস দিয়ে জনতার হাতে আটক ওই ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

ধর্ষণের ঘটনায় রাতে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মেম্বার পলাশের সভাপতিত্বে সেই সালিশি বৈঠকে এক লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। বৈঠকেই অভিযুক্তের কাছ থেকে ওই টাকা আদায় করা হয়। এর মধ্যে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজের পকেটে ঢুকান ওই মেম্বার।

ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, তারা প্রহসনের এ বিচার মানবে না।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত তারা মিয়া বলেন, ‘গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে ইউপি মেম্বার আমাকে যে শাস্তি দিয়েছেন তা আমি মাথা পেতে নিয়েছি। পরবর্তী কোনো বিষয় আমার জানা নেই।’

মেম্বার পলাশ বলেন, ‘ঘটনা মীমাংসা করা হয়েছে এ কথা সত্য। তবে জরিমানার কোনো টাকা-পয়সা আমি নেয়নি। মেয়েটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’