Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাগুরার সেই হিটু শেখের লাম্পট্য অনেকদিনের

Icon

আবু বাসার আখন্দ, মাগুরা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ এএম

মাগুরার সেই হিটু শেখের লাম্পট্য অনেকদিনের

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক হিটু শেখ। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বৃহস্পতিবার রাতে দাদাবাড়ি শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুণ্ডি গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শিশুটির বোনের শ্বশুর মাগুরার শহরতলি নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তার লাম্পট্য দীর্ঘদিনের। এর আগেও নারীঘটিত নানা অপকর্মে জড়িয়েছিলেন তিনি। 

তারা জানান, হিটু শেখের বাবার বাড়ি একই গ্রামের নলুয়া পাড়ায়। তিনি তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। দশ-পনেরো বছর আগে হিটু শেখ নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মাঠপাড়ায় বাড়ি করেন। 

নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মোস্তাক মিয়া বলেন, দুই বছর আগে হিটু শেখ তারই এক প্রতিবেশী নারীকে গোসলের সময় ঝাপটে ধরেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তাকে আটক করে নাকে খত এবং গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে শাস্তি দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, রাজমিস্ত্রি হিটু বেশ কয়েক বছর আগে ফরিদপুর এলাকায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে ওই বাড়ির এক নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এরপর তাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন তারা।

প্রতিবেশী জাহিদ শেখ জানান, হিটুর বড় ছেলে রাতুলের সম্পর্কে খারাপ কিছু এলাকার কেউ বলতে পারবে না। তবে অন্য ছেলে সজিব ৭-৮ মাস আগে একই গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। পরে সেই মেয়েটির পরিবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এর দুই মাস পর শ্রীপুরের জারিয়া গ্রামে সেই শিশুটির বোনের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। 

এদিকে ছেলের নতুন বউয়ের সঙ্গেও হিটু অশালীন আচরণ করায় সজিবের স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার পরই সজিবের স্ত্রী ৮ বছরের ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ১ মার্চ স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায়। এরপর ৫ মার্চ রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হিটু শেখের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ হিটু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সদর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা। ওই মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে আসামি করা হয়েছে হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা, দুই ছেলে রাতুল ও সজিবকে। চার আসামিকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা বর্তমানে মাগুরা কারাগারে আছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী বলেন, হিটু শেখের বাড়িতে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ৮ বছরের একটি শিশুর ওপর তারা নির্যাতন চালিয়েছে। তবে এ ঘটনার আগে তার বা তার পরিবারের কারও নামে মাগুরা কিংবা অন্য কোনো থানায় কোনো অভিযোগের খবর পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম