
আছিয়ার মৃত্যুর পর তার গ্রামের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে শুক্রবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মাগুরার সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নেওয়াজ হালিমা আরলি, মাগুরা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রেজাউল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার বাড়িতে যান। আছিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাও পরিবারটির খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলা পরিচালনায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুর পর রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে দাফন করা হয় দাদা বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামের কবরস্থানে।
শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে ওই কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, একই বয়সি কয়েকটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যু হওয়া ওই শিশুটির কবর ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ওই শিশুটির সহপাঠী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সহপাঠীর নির্মম মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েই কবরস্থানে গিয়েছে বলে জানায় তারা।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় তাদের সহপাঠী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। দীর্ঘ আট দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সহপাঠীর নির্মম মৃত্যুতে শোকাহত হাসিবুল জানায়, সেও একই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্লাসে তার রোল এক। অন্যদিকে তাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া সেই শিশুটির ক্লাস রোল চার। ভালো ছাত্রী হওয়ায় তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। স্কুলে যাওয়া আসাও ছিল তাদের একই সঙ্গে।