প্রভাষকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে-বহিষ্কার, এইচএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত শিক্ষার্থীর

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষকের সঙ্গে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বহিষ্কার হওয়া ওই ছাত্রী এ বছরও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে কলেজ অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির সম্মতি না পেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান ওই পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বছর (২০২৫) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি। ইউএনও ওই ছাত্রীকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেন বলে ওই ছাত্রী ও তার স্বামী সাবেক প্রভাষক ত্রিদীপ চন্দ্র পাটোয়ারী জানান।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৬ মে রায়পুর রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক এক সন্তানের জনক ত্রিদীপ চন্দ্র পাটোয়ারী একই কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিক্ষক মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তারা উভয়ই বিয়ে করেন। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ জুন কলেজ থেকে বহিষ্কার করে এবং প্রভাষককেও সাময়িক বরখাস্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কলেজের বেতন বন্ধ থাকলেও সরকারি টাকা উত্তোলন করতে পারছেন ওই শিক্ষক। তখন (২০২৪) এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি ওই ছাত্রীর।
পরীক্ষার্থী বলেন, স্যার মুসলমান হয়েছেন। আমি তাকে বিয়ে করেছি। এ অপরাধের জন্য আমি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব না? এ কেমন আইন? কলেজ অধ্যক্ষ, সভাপতি ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে সহযোগিতা চেয়েও পাইনি। আমি সাংবাদিক, সরকার ও আদালতের কাছে বিচার চাই।
এ বিষয়ে রায়পুর রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাইফ উদ্দিন বলেন, অবিবাহিত কলেজের মেধাবী ছাত্রীকে নিয়ে হিন্দু প্রভাষক এক সন্তানের জনকের পলায়নের ঘটনায় কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার ও প্রভাষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই কলেজ থেকে ওই ছাত্রীর আর কখনো পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করায় পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে জানান। তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।