
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ এএম
বেনাপোলে ভ্রমণ কর জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা শামীম আটক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম

আরও পড়ুন
বেনাপোলে জাল ভ্রমণ কর সরবরাহ করে দুইজন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীকে ভারতে পাঠানোর অভিযোগে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে জাল ভ্রমণ কর সরবরাহকারী শামীম হোসেনকে (৩৫) আটক করা হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় ‘বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট’ নামে একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে জাল ভ্রমণ কর কেটে ওই দুই ভারতীয়কে পার করছিলেন। ওই কম্পিউটার দোকানের মালিক শামিম নিজে। তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার স্থানীয় সাদিপুর গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে। এর আগেও একই অপরাধে সে তিনবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। ওই মামলায় জামিনে রয়েছে শামিম।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, দুইজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ করে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে যায়। সেখানে দায়িত্বরত কাস্টমসের সদস্যরা ওই দুই ভারতীয়ের ভ্রমণ কর জাল শনাক্ত করে। পরে তাদের টার্মিনালে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের হাতে তুলে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে প্রমাণ হয় এগুলো জাল ভ্রমণ কর। এ সময় যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোথা থেকে তারা এ ভ্রমণ কর কেটেছেন? দোকানের ঠিকানা মোতাবেক বেনাপোল চেকপোস্টের ‘বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট’ থেকে জাল ভ্রমণ কর সরবরাহকারী শামিম হোসেনকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শামিম স্বীকার করে সে ওই দুই ভারতীয়কে জাল ভ্রমণ কর সরবরাহ করেছেন। এ সময় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাসপোর্টধারী দুইজনকে পুনরায় সোনালী ব্যাংকের বুথ থেকে ভ্রমণ কর পরিশোধ সাপেক্ষে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া জানান, ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগে একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। কর ফাঁকির আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান থানার ওই কর্মকর্তা।