জব্দ করা বালু নিয়ে ইউএনও-ব্যবসায়ীদের পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
-67ceea0d0f1a6.jpg)
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় কোটি টাকা মূল্যের জব্দ করা বালু নিয়ে ইউএনও ও বালু ব্যবসায়ীরা পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ৭, ৮ ও ৯ মার্চ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন বিশ্বাসকে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৭টি ট্রাক ও ৬ লরি আটক করে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৮ মার্চ দিনব্যাপী অভিযানে নদীর পাড়ে ১৬০টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ১১ ড্রেজার মেশিন ও পাম্প জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে নদীর পাড়ে উত্তোলিত বালু ফেলে দেওয়া হয়। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
৯ মার্চ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে রাখা ৩৭ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। যা ওই দিন নিলামে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়।
একই দিন উপজেলা প্রশাসনের জব্দ করা বালু ও নিলাম প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে বালু ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বালু ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান ফকির বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বালু কিনে বিক্রি করে থাকি। আমি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কলসিন্দুর ঘাট থেকে বালু ক্রয় করে ধোবাউড়ায় এনে রাখি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের বৈধ বালু অবৈধভাবে জব্দ করে। জব্দকৃত বালু ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
স্যানিটারি ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব বলেন, আমি অল্প পরিমাণ বালু ক্রয় করে স্যানিটারি মালামাল তৈরি করে বিক্রি করি। কিন্তু আমার বালুগুলো জব্দ করা হয়।
বালু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান সুমন প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা রয়েলিটি দিয়ে বালু কিনেছি। আমরা তো অবৈধভাবে বালু কিনি না। কেন আমাদের বালু জব্দ করা হয়েছে। আজকের এই বালুর নিলাম অবৈধ। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমাদের বালুগুলো ফেরত দেওয়া হোক।