Logo
Logo
×

সারাদেশ

সালিশে দুপক্ষের সংঘর্ষ, বিএনপি সভাপতিসহ আহত ১১

Icon

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

সালিশে দুপক্ষের সংঘর্ষ, বিএনপি সভাপতিসহ আহত ১১

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে শালিসে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতিসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুরে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে সালিশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, হুমায়ন কবির, বাচ্চু মোল্যার ছেলে ফরহাদ মোল্যা, আলমগীর হোসেনের ছেলে রাশেদুল মোল্যা, আজিজুল মন্ডলের ছেলে নাসির মন্ডল, কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম, মজিবর রহমানের ছেলে বাবলুসহ ১১ জন আহত হয়েছে।

আহতদের ৮ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩ জনকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বিরের সঙ্গে ২০২১ সালে প্রেম করে পালিয়ে চলে যায়। পরে আবার তারা ফিরে আসলে যার যার মা-বাবার কাছে চলে যায়। 

২০২৪ সালে পুনঃরায় তারা পালিয়ে নোটারি পাবলিক করে বিয়ে করে। এরপর মেয়ের বাবা ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে নিজের জিম্মায় নেন বাবা আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বালিয়াকান্দি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। 

আবারও গত ৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে যোগাযোগ করে সাব্বির ওই মেয়ের বাড়িতে আসে। তখন মেয়ের বাবা আলমগীর হোসেন ও তার ভাই তুহিন, হুমায়ুন ও ছেলে রাশেদুল মিলে সাব্বিরকে আটক করে। তাকে বেধড়ক মারধর এবং একটি খেলনা পিস্তলসহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। 

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হতে থাকে। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় সাব্বিরকে উদ্ধার করেন। তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। 

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে বালিয়াকান্দি উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক বসে। সালিশের একপর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১১ জন আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন বলেন, বালিয়াকান্দি বিএনপি নেতা শওকত ভাই ও চুন্নুভাই উপস্থিত থেকে সালিশে সমাধান করতে যায়। রায়ের ঠিক ৫ মিনিট আগেই সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ বা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরুতর আহতরা ফরিদপুর ও বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে বালিয়াকান্দি থানায় সাব্বিরের নামে একটি অপহরণ মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম