সীতাকুণ্ডে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তির নাম রাকিব। তিনি সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী এলাকার অলি আহাম্মদের পুত্র।

রোববার কলেজছাত্রীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চারজনকে  আসামি করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকালে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি এলাকা থেকে মো. রাকিব (২২) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টার কবলে পড়া ওই কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার সকালে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর রোববার বিকালে গুলিয়াখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাকিব নামে এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া কলেজপড়ুয়া এক তরুণী চার ধর্ষকের কবলে পড়েন। তারা তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধুকে উপকূলের ঝাউগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তরুণীকে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর স্থানীয়দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে তরুণীর ধর্ষণের বিষয়টি উঠে আসে। ধর্ষিতা ওই তরুণী তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে চারজন গণধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেন। বিকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ধর্ষিত ওই তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা বন্ধু এবং ভাইকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন সৈকতে থাকা বখাটে ওই চার যুবক তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সৈকতে থাকা স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।