
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪০ এএম
স্বামী নিরুদ্দেশ, বাবার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

আরও পড়ুন
প্রেমের সম্পর্কে হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করেন এক মুসলিম যুবক। তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি দুই পরিবার। এর মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। কয়েক দিন পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে ওই যুবক নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এ অবস্থায় চার ফিরে যান ওই তরুণী; কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দিলে তিনি চলে আসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে।
সাহায্য করার নামে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীকে (২০) একদল যুবক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সিয়াম (২০) ও জিত সরকার (১৯) নামের দুই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কোন্ডা ইউনিয়নের পানগাঁও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে (বুড়ির বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায়। এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে রিয়াদ নামে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে স্বামীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ১৫ দিন আগে ঝগড়া হলে স্বামী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে নিরুদ্দেশ হন। এ অবস্থায় মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে ফিরে যান।
পরিবারের অমতে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় তারা মেনে না নিয়ে মেয়েকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে মেয়েটি লঞ্চযোগে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসে শুক্রবার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। সিয়াম ও জিত মেয়েটির কাছে তার দুঃখের কারণ শুনে তাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করিয়া দেবে বলে অটোরিকশাযোগে পানগাঁও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ি এলাকায় বুড়ির পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। লিমন ও ইয়াসিন নামে তাদের আরও দুজন বন্ধুকে সেখানে ডেকে আনে।
এরপর রাত গভীর হলে সিয়াম, জিত সরকার ও লিমন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ইয়াসিন জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে সিয়াম ও জিত সরকারকে আটক করে এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় লিমন ও ইয়াসিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিয়াম ও জিত সরকার নামে দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ৪ জনের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।