চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে রোববার দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। 

শনিবার রাত ৩টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। 

গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার হুলিয়ামারী গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরীশ নগর গ্রামের আবদুল খালেক ত্রিপুরার ছেলে বিল্লাল হোসেন মোল্লা ও একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আছের উদ্দিন মান্দার। 

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৩টার দিকে গিরীশনগর মাঠ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশীয় তৈরি চাইনিজ কুড়াল, তিনটি ধারালো হাঁসুয়া ও পাঁচটি বাঁশের লাঠি।

এর আগে শনিবার টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন দুপুর ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময় রফিকুল ইসলামের বড় ভাই শফিকুল ইসলামসহ আরও ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।

নিহত রফিকুল ছিলেন সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের রহিম বকশের ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। 

এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে রোববার দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) জানান, মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।