Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রলীগ নেতার মিথ্যা মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক

Icon

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম

ছাত্রলীগ নেতার মিথ্যা মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান হৃদয়ের দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরু। তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। 

রোববার (৯ মার্চ) জিআরইউর কোর্ট পুলিশ (ভেদরগঞ্জ) গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে মামলার অব্যাহতির তথ্য স্লিপ উত্তোলন করেন হিরু।

এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক লাভলী শীল তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। 

দীর্ঘ সময়ের সিআইডি ফরেনসিক ফাইনাল প্রতিবেদন শেষে ২০২৩ সালের ভেদরগঞ্জ থানার জিআর ৬৫/২৩ একটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় খালাস পান তিনি। 

মামলার বাদী হৃদয় শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের নান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা ও যাত্রাবাড়ী থানার ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে ৯ নভেম্বর রুবেল খান নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে হৃদয়ের সঙ্গে বিভিন্ন মেয়ের অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে তার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। অজ্ঞাতনামাকে টাকা না দিলে ২২ অক্টোবর ২০২৩ ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভবনের সামনে ২নং বিবাদী বাদীকে দাঁড় করিয়ে ফেক আইডির বিষয়টি মিমাংসা করে দেবেন বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। 

এরপর ২৭ অক্টোবর বিকালে রেদুয়ান বিন কবির নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে বাদীর ব্যক্তিগত এবং বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে অশ্লীল ছবি পোস্ট করা ও বিভিন্ন মানহানিকর কথা লেখা হয়। 

পরে ২৯ অক্টোবর ২০২৩ সালে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১২ ধারায় ৮(২)/৮(৩)/৮(৭) রেদোয়ান বিন কবির ও শাহাদাত হোসেন হিরুকে বিবাদী করে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করেন হৃদয়। 

খালাস পেয়ে শাহাদাত হোসেন হিরু বলেন, মামলার এজাহারে বর্ণনা করা ঘটনার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল ছিল না। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর এটি একটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। আমি প্রায় দেড় বছর ভুগেছি এবং হয়রানির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। 

তিনি বলেন, পূর্ব শত্রু তার জেরে আমাকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমার কর্মস্থলেও সে নানাভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেছে। যাতে করে আমি চাকুরিচ্যুত হই। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান শাহালম বলেন, মামলাটি ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। মামলা দিয়ে আসামিদের হয়রানির করাই ছিল হৃদয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। তাই দীর্ঘ দেড় বছর পর সিআইডি ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ স্বাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় মহামান্য আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম