Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, সাংবাদিকসহ আহত ৮

Icon

সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, সাংবাদিকসহ আহত ৮

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষকালে গুলিবর্ষণের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের আহত করে তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আদমজী এলাকায় সংঘর্ষে হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে উপস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিন দেখা গেছে, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং রুহুল আমিন নামক এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে দুপুরে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরেই সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে।

এরই জের ধরে পরবর্তীতে বিকালে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় তোফাজ্জল হোসেন নামক স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন এবং এক গণমাধ্যম কর্মীর মোটরসাইকেলসহ মোট ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

আহত গণমাধ্যম কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী মোস্তাক শাওন বলেন, তোফাজ্জলের অবস্থা ভালো না। ধারণা করা যাচ্ছে তার হাত এবং মাজার হাড় ভেঙে গেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল আমিন বলেন, ইপিজেডে ব্যবসা করার জন্য আমার লাইসেন্স আছে। সেখানে একটা ফ্যাক্টরিতে আমার দুইজন লোক গেলে তারা (সাগরের লোকজন) বাধা দেয় তখন দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বাহিরে এলে সাগরের লোকজন আমার লোকজনের ওপর গুলি করে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবুর, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ সময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪-৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে ৩-৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করেন। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সামলানো হয়েছে।

কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই পরিস্থিতিতে কাউকে আটক করা সম্ভব ছিল না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম