Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর হাসপাতালের প্রধান সহকারীর বদলি

Icon

বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর হাসপাতালের প্রধান সহকারীর বদলি

যুগান্তরে ‘ভাতায় হিসাবরক্ষকের ঘুসের নেশা’ শিরোনামে গত ২৪ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশের পর বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক রফিকুল ইসলামকে বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। 

বুধবার (৫ মার্চ) বদলির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমূল আহসান।

জানা গেছে, বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল  হাসপাতালের কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দৈনিক যুগান্তর’ এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর সরকারি চাকরিতে যারা যোগদান করেন। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, তিন বছর পূর্ণ হওয়ায় যথাসময়ে শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা পাওয়ার জন্য প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক রফিকুল ইসলামের কাছে আবেদনপত্রসহ প্রয়োজনী কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে আবেদনের পরও যথাসময়ে হাসপাতালে কর্মরত ২৭ জন সিনিয়র নার্সদের ছুটি ও ভাতা মঞ্জুরির কোনো ব্যবস্থা করেননি রফিকুল ইসলাম। 

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজি অফিস থেকে বরাদ্দের ব্যবস্থা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পাস করাতে জনপ্রতি ১২০০ টাকা দাবি করেন তিনি। 

আরও উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট ডিজি অফিস ছুটি ও ভাতা মঞ্জুরির বাজেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বরাদ্দ করলেও রফিকুল ইসলাম নার্সদের কাছে ঘুসের টাকা দাবিসহ সঠিক সময়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এতে শ্রান্তি বিনোদন প্রাপ্তির নির্ধারিত গত ১২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে যেদিন পাস হবে ওই দিন থেকে কার্যকর হবে।

এরপর তত্ত্বাবধায়ক অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য দেন। তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মার্চ বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ স্বাক্ষরিত চিঠি ইস্যু করেন, এতে ৫ দিনের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে বরগুনা হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি পত্র নিয়ে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদান করতে আদেশ দেন। অন্যথায় ছয়দিনের দিন সরাসরি অব্যহতি দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমূল আহসান বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী রফিকুল ইসলামকে প্রশাসনিক কারণে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। আজকে তার ছাড়পত্র আমি দিয়েছি। 

শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা বঞ্চিতদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে দেখেছি; অভিযোগ দেওয়া সবাই শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা পেয়েছেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম