
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনার জলমহাল থেকে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে পলো শিকারিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দৈলং আফানিয়া জলমহালে এ ঘটনা ঘটে।
জলমহালের ইজারাদার রনজিৎ চন্দ্র দাসের অভিযোগ, এতে তার কোটি টাকার ক্ষতি
হয়েছে।
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, কেন্দুয়া, মদন ও খালিয়াজুরী
এলাকা থেকে ৬০০ থেকে ৭০০ লোক পলো ও লাঠিসোটা নিয়ে দৈলং আফানিয়া জলমহালে নেমে পড়ে।
এ সময় জলমহালের লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। মেরে ফেলার
ভয়ভীতি দেখানো হয়।
জলমহালের ইজারাদার রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, উত্তর ধীনেশপুর মৎস্যজীবী
সমবায় সমিতির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে প্রায় তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করে মাছের অভয়াশ্রম
তৈরি করেছি। আমাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে সব মাছ লুট করে নিয়ে গেছে ওরা। আমার জলমহাল
থেকে প্রায় কোটি টাকার মাছ লুট করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও
মৎস্য অফিসারসহ সবাইকে জানিয়েছি।
ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ফাল্গুন-চৈত্র মাসের দিকে কিশোরগঞ্জের বড় বড়
বিল এমনকি জলমহালে দিন তারিখ ঘোষণা করে ডাক ভেঙে পলো শিকারিদের মাছ ধরতে দেখা যায়।
এদের কোনোভাবে বাঁধা দিয়ে ফেরানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে মৌসুমের এ সময়টাতে জলমহাল মালিকরা
পলো শিকারি আতঙ্কে ভুগেন।
ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জলমহাল থেকে পলো দিয়ে মাছ
মেরে নেওয়ার ঘটনা শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।’