‘রাষ্ট্রের শক্তি বেশি নাকি ব্যবসায়ীদের শক্তি দেখতে চাই’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০২:১২ পিএম

ব্যবসায়ীদের ওপর বেজায় চটেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট থেকে যাওয়া ও সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ এ সরকারি কর্মকর্তা। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চার দফা বৈঠক করেও ফল শূন্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক। বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ফরিদা খানম বলেছেন, ‘এবার আমি দেখতে চাই রাষ্ট্রের শক্তি বেশি না ব্যবসায়ীদের শক্তি। তেলের সাপ্লাই (সরবরাহ) যদি পর্যাপ্ত না হয় তবে গুদামে গুদামে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ মিটিংই শেষ মিটিং। টিকে বা সিটি গ্রুপের মালিকদের
যদি জেল দেওয়া হয় তাহলে তাদের কি সম্মান থাকবে। প্রয়োজনে ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে অভিযানে
নামবো। কীভাবে ভোক্তা তেল পাবে সে ব্যবস্থা করেন। না হয় রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি অনুযায়ী সরকার
ব্যবস্থা নেবে। ব্যবসায়ীদের যে সম্মানের জায়গা রয়েছে তা কাজের মাধ্যমে রক্ষা করুন।’
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে টাস্কফোর্সের সভায় এসব কথা
বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি এসময় ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জেলা প্রশাসক
ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে হওয়া এ সভায় চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৬০ টাকা
নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার চট্টগ্রামে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ভোজ্য
তেলের সংকট স্বচক্ষে দেখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা
প্রশাসক। এর জেরে তেল উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ডাকা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানিকারকরা করা ১৫৩ টাকা, ট্রেডার্সে ১৫৫
টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা প্রতি লিটার খোলা তেল বিক্রি করবে। এ দাম আগামী ১০ এপ্রিল
পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যে কোনো পর্যায়ে কেউ যদি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে তেল বিক্রি
করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশেষ টাস্ক ফোর্স কমিটি।
সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি
করা হচ্ছে। রমজানকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। ভোজ্য তেলকে প্রাধান্য দিয়ে দাম
নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে সর্বোচ্চ
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’