চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামে দুইজনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছে সাতকানিয়া জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে তারা। 

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গতকাল রাতের হত্যাটি একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড।  এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম বহু আগে থেকেই সন্ত্রাসকবল এলাকা। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও  হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের পাহাড়, ভূমি জবরদখল করেছিলেন।  এলাকার মানুষ তার অত্যাচার-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বয়কট করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি।  গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে গেলেও তার বাহিনী ধরাছোঁয়ার বাইরে।  মানিকের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। 

গতরাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন  ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দেয় এবং গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ, হারুনের পরিকল্পনায় কুপিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

একইভাবে ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী আবুল বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়েছিল।

বিবৃতিতে সাতকানিয়া জামায়াতে ইসলামী অবিলম্বে চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতার, ঘটনার গডফাদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।