ভৈরবে ৪ দিনে ৬০ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম

ভৈরবে ছিনতাই প্রতিরোধে অভিযান চলছে। গত ৪ দিনে শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে ১২ জনকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানিয়েছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮ জন ও ১ মার্চ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৩৫ জন চিহ্নিত ছিনতাইকারী রয়েছে। ভৈরব থানাসহ বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বাকি ২৫ জনকে সন্দেহমূলক গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ছিনতাইয়ের অভিযুক্ত আসামিদের আটকের পরও আতঙ্ক কাটছে না ভৈরববাসীর। রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট থাকলেও নিয়মিত ছিনতাই করছে ১০ থেকে ১২টি স্পট থেকে। ওই সব স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হলে ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ও আতঙ্ক দুইটাই কমে যাবে। তবে পুলিশ বলছে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদ এলেই ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে যায়। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে চুরি ছিনতাই বেড়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো স্পটেই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। থেমে নেই বিভিন্ন বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা। ছিনতাইয়ের কবলে পড়লে সর্বহারা হওয়া ছাড়াও ছুরির আঘাতে অনেকেই রক্তাক্ত হন।
তারা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে পুলিশ, আইনজীবী, বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অনেককে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। কারণ মাদক সেবনকারী, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং সদস্যরা এসব ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
ছিনতাই প্রতিরোধে ভৈরবে মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন বৈষম্যরিবোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাধারণ শিক্ষার্থী ও খেলাফত মজলিসের নেতারা।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, ভৈরবে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করছে পুলিশ। ৪ দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিকের বেশি ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান চলতে থাকবে।