Logo
Logo
×

সারাদেশ

শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম

শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে মহাসড়ক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়ক ছাড়ে তারা।

এর আগে গত সোমবার বিকালে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি বাজারে এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বিবাদ হয় তাকওয়া পরিবহণের স্টাফদের। একপর্যায়ে অটো চালককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজারের দেড় কিলোমিটার পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওপর ওই অটোরিকশার লাশ পাওয়া যায়। মৃতের হাত ও পায়ের রগকাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পেশায় অটোরিকশা চালক মো. লিটন মিয়া (৩০) নেত্রকোনা জেলার মদন থানার সিবপাশা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের মাধখলা গ্রামে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকওয়া পরিবহণের স্টাফরা লিটনকে খুন করে রাস্তায় মরদেহ ফেলে যায়। এ ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করে থানা পুলিশ।

লিটনকে হত্যায় ও মামলা নিতে গড়িমসি করায় মঙ্গলবার সকালে মহাসড়ক অবরোধ করে মৃতের স্বজন, অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা। তারা তাকওয়া পরিবহণ বন্ধের দাবি জানান। পাশাপাশি অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় মামলা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। অবরোধের জেরে মহাসড়কের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

 

লিটনের স্ত্রী শরমিন বেগম বলেন, ‘গতকাল বিকালে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহণের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর তাকে জোর করে বাস তুলে নিয়ে যায় তারা। ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে লিটনের মরদেহ পাওয়া যায়। লিটনের হাত ও পায়ের রগ টাকা ছিল।’

মৃতের ছোটভাই আজিজুল বলেন, ‘ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রে আঘাতে খুন করলো অথচ মামলা করার পরামর্শ দেন সড়ক দুর্ঘটনার। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে।’

অটোরিকশা চালক সুমন বলেন, তাকওয়া পরিবহণের স্টাফরা করতে পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই। খুন করা তাদের জন্য খুবই সামান্য কাজ। ওরা বাসের নারীদের ধর্ষণ করতে পারে।

মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমরা মহাসড়কে লাশ পেয়েছি। তাই দুর্ঘটনার মামলা ব্যতীত হত্যা মামলা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।’

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সড়কে। তাকওয়া পরিবহণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম