Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় স্বামী-ছেলেকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

Icon

কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় স্বামী-ছেলেকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

মাদারীপুরের ডাসারে এক গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাধা দেওয়ায় উল্টো অভিযুক্ত গোপাল মল্লিক লোকজন নিয়ে পিটিয়ে আহত করেন ওই গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে।

শনিবার রাতে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর বাঘমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের কানছিরাম মল্লিকের লম্পট ছেলে গোপাল মল্লিক (৪০) দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই গ্রামের এক গৃহবধূকে ব্লাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন।

পরে এ ঘটনায় নবগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদারের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। পরবর্তীতে আর কিছুই হবে না বলে উপস্থিত এলাকাবাসীর সম্মুখে ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দেন অভিযুক্ত গোপাল মল্লিক।

কিছুদিন যেতে না যেতেই গত শনিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের পেছনে গেলে পেছন থেকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন গোপাল মল্লিক। এ সময় তার চিৎকার শুনে গৃহবধূর ছেলে তার মায়ের ইজ্জত বাঁচাতে গেলে লম্পট গোপাল মল্লিক উল্টো মারধর করে গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, গোপাল মল্লিক গোপনে আমার গোসল ও বাথরুমের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে। এরপর সেগুলো আমাকে দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি লোকলজ্জায় বিষপান করলে চিকিৎসা দিয়ে আমাকে সুস্থ করে তোলে। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ক্ষমা চায় এবং ভবিষ্যতে ডিস্টার্ব করবে না বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয়।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে বাইরে গেলে পেছন থেকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি চিৎকার দিলে, আমার ছেলে বাধা দিলে ওকে মারধর করে, আমার স্বামী এলে তাকেও মারধর করে। ন্যায়বিচারের আশয় মামলা করেছি।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম