
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৩ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষিকা মিলিকে পুড়িয়ে মারা হয়: সিআইডি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

আরও পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষিকা মিলি চক্রবর্তীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার তিন বছর পর চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। তবে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তারা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যম্যে ন্যায়বিচার পাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- মিলির স্বামী সোনা মিয়া, ছেলে রাহুল রায় অর্ক, ভাতিজা মানিক মিয়া ও আমিনুল হক সোহাগ।
২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন জেলা সিআইডির এএসপি সুমিত চৌধুরী। তিনি জানান, মিলি হত্যাকাণ্ড শুরু থেকেই আত্মহত্যা বলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা বললেও তারা মামলা করেনি। পরে পুলিশ মামলা করে। পুলিশ তদন্ত ভার সিআইডির কাছে দেয়। সিআইডি মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে।
এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। ভিসেরা প্রতিবেদনের বরাতে এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন মিলিকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখায় সিআইডি। তারা হলেন- মিলির ছেলে অর্ক রায় রাহুল ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম সোহাগ। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে মিলির স্বামী সোনা মিয়া ও মানিক নামের এক ব্যক্তিকে। তবে আসামিরা এখন জামিনে আছেন।
সিআইডির এএসপি সুমিত চৌধুরী বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারণ পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি বরং এটিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে। এমন একটি মামলা শেষ পর্যন্ত তদন্ত করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আশা করি আদালতের মাধ্যমে দোষীদের বিচার নিশ্চিত হবে।
২০২১ সালের ৮ জুলাই সকালে শহরের কালীবাড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশে তাঁতীপাড়ার নিজ বাসার পাশ থেকে মিলির পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।