আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৫, দোকান লুটের অভিযোগ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার কান্তনগর গ্রামে গ্রাম্য প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সায়বর আলী (৪২) নামের এক স্থানীয় বিএনপি কর্মীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) এবং চৌগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা (৩৫) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইউনুছ আলীকে (৪৫) বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত অপর দুজন হলেন- বিএনপি কর্মী তাহের আলী (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজিব হোসেন (৩০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আহত আওয়ামী লীগ কর্মী ইউনুছ আলীর ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) শামীম হোসেন বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাদের পক্ষের একটি দোকান ভাঙচুর করে লুট করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ করাই যেন তাদের অপরাধ! তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি আহত বিএনপি কর্মী তাহের আলী মোবাইল ফোনে বলেন, কান্তনগর গ্রামে তারা অল্প কয়েক ঘর বিএনপি করেন। তাদের গ্রাম ছাড়া করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাবাহিনীর তাণ্ডবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। আর তার বাড়িতে সব সময় অস্ত্রের মহড়া ও ভাড়াটে লোকজনের সমাগম থাকে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি অনেক দিন ধরে এলাকার বাহিরে থাকেন। কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ করতেও চান না। প্রথমে সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে জিল্লুর রহমান নামে তার এক কর্মীকে মারধর করা হয়। পরে বাদ এশা আবার তার ভাগিনা মাসুদ রানাসহ তার লোকজনকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে এবং মৃদুল পারভেজ জয় নামে একজনের দোকান লুট করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ওই গ্রামের সবাই আওয়ামী লীগ করতেন। এখন বিএনপি সাজতে আমাদের মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিবলী লোমানী শুভ বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক ও শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, কথা কাটাকাটির সূত্র ধরেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।